মাতৃস্নেহ
জন্ম মোর কোন ক্ষণে
শুধাইব জনে জনে
সৃষ্টি দানিয়াছে মোরে ঋণ।
কালের শেকল ভাঙ্গি
ধরাই সে দিলো আনি
মোর এই ক্ষুদ্র দেহটারে।
কতসুখে স্নেহপাশে
বাঁধি মোরে রেখেছিল
ঐ ক্ষুদ্র তার জঠরের গৃহকোণে।
হঠাৎ সে বিষম খায়
জননীর প্রাণ যায়
ধরার মাঝারে তাই মোর আগমন।
চারিদিকে আলোর ধারা
ভেঙ্গে চোখের কারা
দেখি কত রঙ্গে রাঙ্গা মুখ।
কিছুই চিনিনা তাহা
কেব্লই চেয়ে সারা
মেটে না মনের কোন আশ তো।
তবুও প্রানের ডাকে
মোর যে হৃদয় কাঁদে
কোথা গেল মম্তার সে পরশ।
খুজিতে গিয়ে তারে
পাইনা খুঁজে ভিড়ে
আঁখি মোর ক্লান্ত মানব স্রোতে।
হৃদয় কোনে তাই
হঠাৎ যে ব্যাথা পাই
চোখ দিয়ে পড়ে গেল জল যে।
শুনে বুঝে মোর বায়
তিনি সে নিতে চাই
মোরে তার কোমল অঙ্গনে।।
পাইয়া মাতৃসুখ
আমি যে কখন চুপ
বুঝিনি নিজেই আমি যে।
মাতৃকোলে তাই
আমি যে শুধুই ঘুমাই
কেটে গেছে সব ভয় বিপদের।
এমনি যে রোজ কাটে
বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে
মায়ের আঁচল ছেড়ে বড় তাই।
তবুও কাঙাল মন
মাতৃসুখের দিনক্ষণ
ভুলিতে সে কভু নাহি চাই।
আপন খেলার ঘর
যখনি ভাঙ্গে মড়মড়
মাতৃস্পর্শ দেয় সব ভুলিয়ে।
মমতার এই দান
করেছে করেছে মহান্
স্রস্টাও বাঁধা আছে চিরঋণে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন