মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

শ্রম

শ্রম

দূর আকাশ নীল নীলিমায় ঢাকা বিস্তৃত প্রান্তর
মধ্যেখানে দিগন্ত জোড়া বালির চর
জোয়ার ভাঁটার নেইকো বিরাম, আছে লয়
না সে গানের নয়, ওঠা পড়ার ঘোষণা বয়।

না বওয়া সে বাতাসের কিসের প্রতীক্ষার তরে
নূতন প্রজন্ম পুরানোকে ডেকে দাবি করে
আমি চঞ্চল স্বপ্নের বাস্তব রুপ দিতেছি
মোদের চেতনা স্রোতের বাঁকে বাঁকেই ধরে রেখেছি।

তব মত নই হীন দুর্বল, আছে শক্তি বাহুতে বল
ঘটনার নিত্যতা, পুরানোর বিড়ম্বনার নেইকো ছল
সে যে এক কাহিনী, সৃষ্টির নিয়মে বাঁধা পড়ে আছে
হেথা হোথা প্রতিদিনই ভাঙছে খেয়ালে, কে গড়ে?

গড়ি আমরা দূর্বার শক্তিতে, ভাঙ্গিও তেমনি ঢঙে
জীবন মোদের, খেয়াল মোদের সবই যে রঙচঙে
হাঁটি না মোরা বাস্তব তালে গড়িনা ক্ষুদ্র পথ
মোদের বিশালতা দেখিবে যদি, দেখিবে একটি মত।

তব খেয়ালের ভাঙ্গা গড়াই আসেনা মোদের কিছু
মোরা গড়ি শুধু বহু আশ নিয়ে ভাঙনেরে রেখে পিছু
পথপ্রান্তের দেবালয় থেকে শূন্যে মহাকাশে
মোরা রয়েছি উড়ায়ে সে ধ্বজারে, যাকে বেঁধে ছিলে পাশে।

মুক্তিকামী মোরা, বিছিন্ন তবু নই মনে
হয়ত ভাসিব স্বপ্নের রঙে, বাস্তবকে নিয়ে মেনে
আমরা গড়ছি নূতন সকাল, যেথা দিবামণি ওঠে
যায়নাকো কভু সেই দিবামণি অস্তাচলের পাটে।

আমরা এহেন বরেই ধনী, ভাঙিগরি খেয়াল বশে
আমরা জেনেছি যুগের তরে শ্রমই কীর্তি চষে
শ্রম দান হেথা স্বর্গ রাজও পাই নাকো কিছু জিতে
নইতো সকলের পুরিত অভিলাষ, স্রস্টাকে কি কিছু দিতে?

হত না ধরার গৌরব উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল
জগত্‌ রচিয়া বিধাতা দানিলেন শ্রমেরই দীপ প্রজ্বল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন