বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

গঙ্গা

গঙ্গা

ঝর ঝর ঝরে চলে নির্ভয়ে
কলকল্লোলিনী চলে বয়ে
হেথা হোথা ঘূর্ণির আবর্তে
নেমে এসেছে কত যুগ আগে মর্তে

উৎস খোঁজে যারা, বোঝা হায় তুমি মাতা
ভাসিয়ে নগর দেশ প্রান্তর যথা
তোমায় বাঁধবে কে, তুমি তো মহাধারা
সে ধারার সিঞ্চনে ভাঙ্গে কত শোকের কারা

তব প্রয়োজন ছিল মাগো হেথায় আসার
নেই কোনও অভিযোগ, আছে বোঝার
তোমার শীতল পরশে, সকলি যে প্রাণ পায়
যে শীতলতার নেই কোনও মাপকাঠি তাই

তব পরশে ঘোঁচে কত শোকের স্তব
তুমি মাতা বুঝেছ যে সব
তব গাথা যুগে যুগে বয়ে চলে তব সাথে
তোমার কি শেষ আছে এই সৃষ্টির হাতে

সৃষ্টির বিধাতা দিয়েছিল তোমারে বিধান
যার পরে নুয়ে মাথা করেছ প্রস্থান
ছাড়ি অমরলোক বিষ্ণু পদপ্রান্ত
নেমেছ ভূতলে হয়ে জটাই ক্ষান্ত

না তুমি চাহনি জননী ভাসাতে প্রান্তর
চেয়েছিলে পেতে স্থান ঐ জটার অন্তর
সেই স্থান তুমি ধন্য বরে পেয়েছিলে
তব চেয়ে মাগো আর কে বা ছিল

মহিমা তোমার অপার মাগো
যাহা পেয়েছি আর কিইবা চাবো
শস্য শ্যামল উর্বর প্রান্তর
তব আশিশে ফলে সোনা বিস্তর

সৃষ্টির মঙ্গল দায়িনী হে মাতা তুমি মহান
আপন পবিত্রতা করেছ সবারে দান
মোদের মাঝারে নিয়ে পাপ
দিয়েছ সুযোগ করিতে স্খালন যত শাপ

যুগ থেকে যুগে এই ধর্ম পালনে
করনি কুণ্ঠা, তুমি যোগ্য লালনে
সৃষ্টি আজিকে তাই বন্দিছে তব গাথা
বোঝালে সকলি দিয়ে তুমিই অনন্যা গঙ্গা মাতা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন