আশিস-ধুলি
গুরুগম্ভীর নিনাদ বাজিছে,
অক্ষৌহনী সেনা যে সাজিছে
যুদ্ধের একি ভীষণসজ্জা।
হবে ঘোর লড়াই
বেড়েছে দৈত্যের বড়াই
চূর্ণ করতে তার মজ্জা।
তিলে তিলে ঢাকা
ঐ নীল চাকা
কালো বরণ তিমিরে।
তিমিরে ঢাকিছে ধরা
অশুভ শক্তি ত্বরা
চাইছে জিনিতে মিহিরে।
শুভ্র দিনের আলো
হলো যে কখন কালো
সৃষ্টিকে করছে আজ অধিকার।
ক্ষণিকের চকিতে যায়
বজ্র বিষম ধায়
করিতে তিমিরে ছারখার।
চলেছে লড়াই হোথা
শোণিতের ধারা হেথা
ঝরে চলে, চলে ঝরে ঝিরঝির।
ভাসিছে ধরা আজ
নেই কারো কোন কাজ
কেঁপে চলে ভূলোক আজ থিরথির।
ধরণীর প্রান ক্ষুধা
মেটাই শোণিত সুধা
যোগাই প্রাণরস তৃণমূলে।
অসুর বিনাশ যায়
দেবতার হয় জয়
তবুও লড়াই আরও হয় ভুলে।
ভেঙ্গেছে ভেঙ্গেছে বাঁধ
দেখা গেছে দূ্র চাঁদ
তিমির হঠে গেল পিছে।
কোথা গেল সে আঁধার
ঢেঁকে দিয়ে দুইপার
জিনিতে যে এ গোলক মিছে।
আলোর ঝরণা আসে
ধরণীর বুক ভাসে
চিক চিক করে ওঠে প্রান্তর।
গিরিরাজ মাথাতুলে
চায় যে ছুঁতে ভুলে
অমৃতের সাদা ঐ ভাণ্ডার।
মিঠে বায়ু কেমন বয়
তুলেছে নূতন লয়
পএ মাঝারে বাজে করতালি।
সৃষ্টিযে প্রান পেল
অভিশাপ হয়ে গেল
স্রষ্টার অপরুপ আশিস-ধুলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন