শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

প্রাচীন স্রষ্টা


               
             প্রাচীন স্রষ্টা
অদ্ভুত গন্ধের নেশা ধরে, ছুটে যাওয়া তোমারি কাছে
পথের ধারে কিছু ফুল বাতাসের সাথে খেলা করে
আপনাকে বন্দী করে ভুল করে ফেলে আসা
শতাব্দি পেরিয়ে গেছে, মনে পরে কিছু ভাসা ভাসা

আজকে ভারাক্রান্ত জীর্ণ হতাশায় বসে আছি
পথের ধারে তার জান্যে, হয়ত কিছু পেতে বাকি
জানিনা তিনি আসবে কবে, অদ্ভুত তার আগমন
জ্বলে না বাতি, ভেজে না শরীর, তবু মন অনুক্ষণ

তাঁহারই প্রতীক্ষার তরে জীবন মোর উচাটন
দ্বেষ নেই দ্বন্দ্ব নেই সে আমারই প্রয়োজন
সৃষ্টি রচিয়া তার, জগৎ জুড়ে বিচরন
পরীক্ষার তরে নুতন খেলা, ভেঙ্গে যাই এ দেহমন

দেবালয় থেকে দেবালয়, মহাশুন্য থেকে গৃহকোণ
অদ্ভুত তাঁর সৃষ্টি, সৃষ্টির খেলা সর্বক্ষণ
নতুন গড়ে, পুরানো সড়ে, চলে তাঁর খেলা সারাদিন
মেলে না সময় আমাদেরেই শুধু, যাদের রচিয়া তিনি প্রাচীন

সংস্কার, কুসংস্কার ভাবিয়া মন বিজ্ঞানী
পারে না দিতে সৃষ্টির কথা, তবু বিজ্ঞান অভিমানী
মানতে পারি না, মানতে চাহি না স্রষ্টার উদারতা
নতুবা কি করে বিজ্ঞান হত আমাদের জয়গাথা

রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

অলস মন

অলস মন

অসীম নীলাকাশে ছন্দের লয়ে
এঁকে চলে মন কিছু কল্পনার তালে
হারিয়ে যাওয়া নৃত্যের তালে, সে সব কেমন্
কল্পতরু বৃক্ষের নিচে সবই যে যেমন্॥

ওঠাপ​ড়া বেঁচে থাকা, জীবন যখন
হোকনা সে বিচিএ আমাদের মতন্
নিঃস্তব্ধতা নিবিড়তা, যত চলে খেয়ালে
খুঁজে পাই নিজেকে, আপন দিনরাত চালে॥

শব্দের নিঃস্তব্ধতা, নয়তো করুণার ঘৃণা
ব্যার্থ মাথাখুঁড়ে গল্পের সীমানা
অলস মনের তালে অদ্ভুত গোঁড়ামি
হিসেব মেলে না যত, গণিতের খোঁচানি॥

হারায়ে উঠে নিভে যাওয়া, যন্ত্রণার কত সুখ্
পায়্না তারা অলস ডানা, কৃএিম যত মুখ​
রঙচঙে ভাষা কত, মন তবু গোঁজামিল​
ধুর ছাই ভুলে যাই, সব যেন সপ্নিল​॥

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

ইতিহাস

ইতিহাস

অমি যে চলেছি তোমাদেরই সাথে
আমার পথ, তোমাদেরই হাতে
তবু আমি বন্দী নই
আমি সৃস্টী মাঝে সদা মুক্ত রই

আমি কালকে ছিলাম, আজও আছি
আমি তো সময়ের বড়ো মাঝি
আমার পথে সত্য এসেছে
কলিও চলেছে সবার শেষে
মধ্যে দ্বাপর, ক্রেতাও গেছে
আমার সবার হিসেব আছে

আমি যে রই তব অগোচরে
পাওনা দেখা, পাবে কি করে
তব প্রানে নেই দেখার আকুতি
তোমরা কেবল কর ডাকাতি

জিনিতে পৃথ্থী ভেঙেছ কত
যদি নিতে চাই হিসেব যত
পারিবে না দিতে জীবনের দাম
এতো স্রস্টার ঘোর অপমান্

হায় রে অবুছ বোঝ না কেন
জীবনের দাম নয় এ হেন
দিতে সে দাম পোড়ে যে মিতে
তোমাদের সব স্বপ্নের ফিতে

দেখনি অযোধ্যা, দেখনি বারাণসী
অত্যাচারের ক্রুর মুখ হাসি
ইতিহাস তব মোর পদভারে
পিষে চলে গেল, হয়ে নতশিরে

তব অহমিকা কিসের তরে
আমি মহাকাল রয়েছি উপরে
আমায় ডরাও, রচ ইতিহাস​
সেই ইতিহাস যা ধ্বংসের দাস​

জাননা কৃপাণ, রথের চাকা
হারায়, আর ওই আঁকা বাকা
পথে, মোর ধূলায় ঢাকি
তুমি তো তুছ্ছ দেখিবে ফাঁকি

সেই ফাঁকি যা গ​ড়েছ যতনে
কালের পাতায় জেগে স্বপনে
পাওনি কিছুই, সবই গেছে হারিযে
আমার স্রোতে ভেঙে গুঁড়িয়ে

মনে রয়ে গেছে সেই ইতিহাস
যা আমায় করে পরিহাস​
তার দৃপ্ত কঠিন আঘাতে
আমার পদমূল সদাই কাঁপে ||

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৩

নতুন সভ্যতা

বিকেলের পড়ন্ত বেলা সূর্যের লাল আলো
মাঠ ভরা ধান হয়েছে অতীত কালো
শান্ত নদী ধীর ছন্দ লয়
স্বচ্ছ শীতল জল ধীর গতি বয়
হারায়ে গেল হায়
কালো ধোঁয়া হাত বাড়ায়

সৃষ্টির প্রথম ধাপে পৃথিবী ভরে ছিল সবুজ ছোপে
সেই সবুজ যার পড়েনি কেও কোপে
নির্মল অমৃতসম বাতাস
দিয়েছিল যা প্রানের আশ্বাস
সবই আজ বহুদূর
বহেনা প্রানের নির্ঝর সুর

ভোরের আলো যখন ফুটল
মালতী লতার ঘুমটি ভাঙল
আলোকে করে সে সিনান
মধুকরেরে জানায় সে আমন্ত্রণ
বাতাস যে মিঠে বয়
এই মিঠে যারে সুবাস কয়

পাখির কলতান, দেবতার আহ্বান বাতাসে ভাসত
কাননে কাননে সাড়া যে জাগত
ভোরের শিশির চুপচাপ
ঝড়ে পরত টুপটাপ
মুক্তোসম হাসি
ঘাসের ডগায় আসি

কল কোলাহল বেড়েই চলত
রাখাল কিছু পথে নামত
শোনা যেত মন উদাস করা
বেদনা আনন্দ বিষাদ ভরা
রাখাল বাঁশি ওরে
মনকে পাগল করে ফেরে

চির শ্যামল ঐ গাঁয়ের পড়ে
চাষির দল যে উঠত বেড়ে
নিত্য মাঠে ঘষে মেজে
ফলাই সোনা প্রচুর শ্রমে
এটাই পারে জীবন দিতে
নতুবা জীবন কোথাই মিতে

দূর্বার শ্রম, ফুলে ওঠে পেশী
হাঁপর চলে ফুসফুসে বেশী
তবুও মাটি করছে কর্ষণ
জীবন ধরায় চলেছে ঘর্ষণ
তাইত ধরায় অন্ন অমৃত
এতো জীবনের একক সত্য

হাসি দুঃখের পালা গান গেয়ে
জীবন তাদের যাচ্ছিল বয়ে
হঠাৎ ঐ আকাশটাকে
কালো মেঘ কেন যে ঢাকে
রাবনের সর্বনাশা থাবা
করেছে সোনার সীতারে বোবা

চির শ্যামল ধরণী আজ
হারিয়েছে তার আবরন লাজ
উলঙ্গ ধরার বুকের উপর
দানব শিশু চালায় নখর
তার বিষাক্ত নিঃশ্বাসে হায়
জীবনের বীজ, বীজেতেই ঘুমায়

কালো ধোঁয়া তার ঢাকিতে চাহিছে
ধরার স্পন্দন কমেই আসছে
লোভ লালসা মানে না নিয়ম
উচ্ছ্রিখলতা করে বিচরন
জীবন আজিকে মূল্যহীন
সম্পদ তারে দানিয়েছে জিন

চাষার দল ধুকছে আজিকে
শৃঙখল বেড়ি পড়ায়েছে তাদেকে
হয়ে উন্মাদ ও দানব পশু
ধরার বুকে হতে চায় যীশু
হিংস্র শ্বাপদ ঈর্ষায় ভরা
ফেলিছে পথে বালি চোরা

হারায় পৃথিবীর সজীবতা, লোভের তাড়নায়
জঠরের ক্ষুদাকে ব্যাবসা বানায়
যে লোভ শুধু চাই বলি
এইতো হাওয়া যুগযে কলি
যন্ত্র হেথা আয়েস করে
মানব শিশু ক্ষুধায় মড়ে

শিশুর হাহাকার ক্রন্দন রোল
হাওয়ায় হারায়, কানে যে ঠোল
সভ্য জীবের ভব্য আচরণ
নতুন সভ্যতায় করে বিচরণ
সভ্য আমরা কত কি জানি
মোদের চেতনা মারণেরে দানি

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৩

সারকথা

সারকথা

শব্দের খেয়ালে খোঁজার এক অকৃএিম চাহিদা
উড়তে চাওয়া মনে আলো ছায়ায় আল্পনা
জানি না কিসে নেওয়া কোথায় তার ধাম
জীবন মাপে সময়, ভুলে মন দোটানায়

আজিকে বাহিরে ঝড়, মনের কবিতা হওয়া
স্বপ্ন শেষের বাতি জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাওয়া
নিজেকে ফিরে দেখা প্রতিবছর পালা বদলের তরে
হৃদয়ের আবেগগুলো নখর চালায় কোমল অন্তরে

পাব কি, কি বা হবে, কিসের লড়াই চলে জীবনযুদ্ধের
মানি না, পারিনি মানতে জীবন মানে রাজনীতির দলে
বদলাই রঙ, রঙিন দিনের ধূসর গোধূলিতে সমাপ্তি
আকুতি মিনতি কত জীবনের তরে, জানাতে নেই ক্ষান্তি

হঠাৎ শান্ত শীতল বাতাস বয়ে চলে আপন খেয়ালে
এলোচুলে হারিয়ে যাওয়া খুঁজে ফিরি নিজের নিজেকে
জীবন শুরু সকালের চায়ে, শেষ সন্ধ্যের নীলতারাতে
কর্মযুদ্ধ পরিণতি ব্যাবসাযুদ্ধে, জীবন কেনেবেচে অর্থে

ষোলআনায় খুঁজতে গিয়ে আঠারো আনায় দেনা
সেই দেনার দোসর হয়ে আসে কতই যাতনা
এক যাতনার মুক্তি লোভে, অন্য যাতনার ধার
যাতনা পাঁক মরীচিকা, কভু মিটেও মেটে না আর

তোমার আমার শান্তি খোঁজা সে এক ললনার ন্যায়
ছলনা ছাড়া মেলে না কিছুই, জীবন দাঁড়িয়ে ঠায়
দীর্ঘশ্বাসের বাতাস ফিরিছে, ঘূর্ণিবাতের সঙ্কেত
কেঁপে কেঁপে ওঠে লেলিহান শিখা জীবন চলেছে যুদ্ধে

নীতিকাব্য নীতিকথা নীতির গ্রন্থে ঘুমায়
খুঁজবে কোথায়, পাবে না হেথায় সবই সময়ে হারায়
জীবন মরু মরীচিকা বোধে ছুটে চলা নিঃসহায়
সময় এলে সোয়াস্তি আসিবে যখন চির ঘুমের গোড়ায়

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

নস্টালজিক মন

নস্টালজিক মন

আমি তারে ত জানি না
আমি হৃদয় মানি না
তবু সে হৃদয় মাঝে আছে
সে যে আসবে নাকো কাছে

সে চঞ্চল এক রমণী
হবে গো কার ভরণী
সে যে রইবে কোথায় চেয়ে
নিজের নয়ন জলে নেয়ে

আমি পথ হারায়ে নি যে
আমি হাত বাড়িয়েছি যে
আমি হার মানিনি যে
কেবল পড়ে গেছি ফাঁদে

এ ফাঁদ যায় না কভু দেখা
এ যে মন আড়ালে ঢাকা
আমি হারিয়ে গেছি হোথা
মন আড়ালে যেথা

আমি কভু তারে দেখিনি
আমি কভু তারে জানিনি
সে যে আমায় তবু জ্বালায়
কত কথায় মোরে কাঁদায়

মন যে বলে চিনি
তবু সত্যি করে জানি
আমি হৃদয় হারায়নি
আমি হৃদয় নিইনি

তবু মন যে বড় একা
খোঁজে মোর প্রানের মিতা
আমি হারিয়ে যেতে চাই
তার মনের গভীরতায়

তার স্বপ্ন দেখা আঁখি
সহজে দেয় না কোনও ফাঁকি
সে যে গভীর নীল চোখ
দিয়েছে গভীর চোট

আমায় নিয়ে খেলা
সে যে করে সারাবেলা
সে তো আর কোথাও নয়
সে যে মনের মাঝে রয়

এ তো মিছে স্বপন দেখা
তবু যায় না দূরে রাখা
সে যে আপন হতে চায়
আমার মনের গভীরতায়

মনের কত কথা
কেবল মিছেয় তো নয় সদা
কত আপন করে নিয়ে
জাল বুনেছে সে

হঠাৎ কি যে হয়ে গেল
কিছু ভুল কি মোর হোল
সে স্বপন আজ কোথা
হৃদয় কি তবে করলো বোকা

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

গঙ্গা

গঙ্গা

ঝর ঝর ঝরে চলে নির্ভয়ে
কলকল্লোলিনী চলে বয়ে
হেথা হোথা ঘূর্ণির আবর্তে
নেমে এসেছে কত যুগ আগে মর্তে

উৎস খোঁজে যারা, বোঝা হায় তুমি মাতা
ভাসিয়ে নগর দেশ প্রান্তর যথা
তোমায় বাঁধবে কে, তুমি তো মহাধারা
সে ধারার সিঞ্চনে ভাঙ্গে কত শোকের কারা

তব প্রয়োজন ছিল মাগো হেথায় আসার
নেই কোনও অভিযোগ, আছে বোঝার
তোমার শীতল পরশে, সকলি যে প্রাণ পায়
যে শীতলতার নেই কোনও মাপকাঠি তাই

তব পরশে ঘোঁচে কত শোকের স্তব
তুমি মাতা বুঝেছ যে সব
তব গাথা যুগে যুগে বয়ে চলে তব সাথে
তোমার কি শেষ আছে এই সৃষ্টির হাতে

সৃষ্টির বিধাতা দিয়েছিল তোমারে বিধান
যার পরে নুয়ে মাথা করেছ প্রস্থান
ছাড়ি অমরলোক বিষ্ণু পদপ্রান্ত
নেমেছ ভূতলে হয়ে জটাই ক্ষান্ত

না তুমি চাহনি জননী ভাসাতে প্রান্তর
চেয়েছিলে পেতে স্থান ঐ জটার অন্তর
সেই স্থান তুমি ধন্য বরে পেয়েছিলে
তব চেয়ে মাগো আর কে বা ছিল

মহিমা তোমার অপার মাগো
যাহা পেয়েছি আর কিইবা চাবো
শস্য শ্যামল উর্বর প্রান্তর
তব আশিশে ফলে সোনা বিস্তর

সৃষ্টির মঙ্গল দায়িনী হে মাতা তুমি মহান
আপন পবিত্রতা করেছ সবারে দান
মোদের মাঝারে নিয়ে পাপ
দিয়েছ সুযোগ করিতে স্খালন যত শাপ

যুগ থেকে যুগে এই ধর্ম পালনে
করনি কুণ্ঠা, তুমি যোগ্য লালনে
সৃষ্টি আজিকে তাই বন্দিছে তব গাথা
বোঝালে সকলি দিয়ে তুমিই অনন্যা গঙ্গা মাতা