বিকেলের পড়ন্ত বেলা সূর্যের লাল আলো
মাঠ ভরা ধান হয়েছে অতীত কালো
শান্ত নদী ধীর ছন্দ লয়
স্বচ্ছ শীতল জল ধীর গতি বয়
হারায়ে গেল হায়
কালো ধোঁয়া হাত বাড়ায়
সৃষ্টির প্রথম ধাপে পৃথিবী ভরে ছিল সবুজ ছোপে
সেই সবুজ যার পড়েনি কেও কোপে
নির্মল অমৃতসম বাতাস
দিয়েছিল যা প্রানের আশ্বাস
সবই আজ বহুদূর
বহেনা প্রানের নির্ঝর সুর
ভোরের আলো যখন ফুটল
মালতী লতার ঘুমটি ভাঙল
আলোকে করে সে সিনান
মধুকরেরে জানায় সে আমন্ত্রণ
বাতাস যে মিঠে বয়
এই মিঠে যারে সুবাস কয়
পাখির কলতান, দেবতার আহ্বান বাতাসে ভাসত
কাননে কাননে সাড়া যে জাগত
ভোরের শিশির চুপচাপ
ঝড়ে পরত টুপটাপ
মুক্তোসম হাসি
ঘাসের ডগায় আসি
কল কোলাহল বেড়েই চলত
রাখাল কিছু পথে নামত
শোনা যেত মন উদাস করা
বেদনা আনন্দ বিষাদ ভরা
রাখাল বাঁশি ওরে
মনকে পাগল করে ফেরে
চির শ্যামল ঐ গাঁয়ের পড়ে
চাষির দল যে উঠত বেড়ে
নিত্য মাঠে ঘষে মেজে
ফলাই সোনা প্রচুর শ্রমে
এটাই পারে জীবন দিতে
নতুবা জীবন কোথাই মিতে
দূর্বার শ্রম, ফুলে ওঠে পেশী
হাঁপর চলে ফুসফুসে বেশী
তবুও মাটি করছে কর্ষণ
জীবন ধরায় চলেছে ঘর্ষণ
তাইত ধরায় অন্ন অমৃত
এতো জীবনের একক সত্য
হাসি দুঃখের পালা গান গেয়ে
জীবন তাদের যাচ্ছিল বয়ে
হঠাৎ ঐ আকাশটাকে
কালো মেঘ কেন যে ঢাকে
রাবনের সর্বনাশা থাবা
করেছে সোনার সীতারে বোবা
চির শ্যামল ধরণী আজ
হারিয়েছে তার আবরন লাজ
উলঙ্গ ধরার বুকের উপর
দানব শিশু চালায় নখর
তার বিষাক্ত নিঃশ্বাসে হায়
জীবনের বীজ, বীজেতেই ঘুমায়
কালো ধোঁয়া তার ঢাকিতে চাহিছে
ধরার স্পন্দন কমেই আসছে
লোভ লালসা মানে না নিয়ম
উচ্ছ্রিখলতা করে বিচরন
জীবন আজিকে মূল্যহীন
সম্পদ তারে দানিয়েছে জিন
চাষার দল ধুকছে আজিকে
শৃঙখল বেড়ি পড়ায়েছে তাদেকে
হয়ে উন্মাদ ও দানব পশু
ধরার বুকে হতে চায় যীশু
হিংস্র শ্বাপদ ঈর্ষায় ভরা
ফেলিছে পথে বালি চোরা
হারায় পৃথিবীর সজীবতা, লোভের তাড়নায়
জঠরের ক্ষুদাকে ব্যাবসা বানায়
যে লোভ শুধু চাই বলি
এইতো হাওয়া যুগযে কলি
যন্ত্র হেথা আয়েস করে
মানব শিশু ক্ষুধায় মড়ে
শিশুর হাহাকার ক্রন্দন রোল
হাওয়ায় হারায়, কানে যে ঠোল
সভ্য জীবের ভব্য আচরণ
নতুন সভ্যতায় করে বিচরণ
সভ্য আমরা কত কি জানি
মোদের চেতনা মারণেরে দানি
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৩
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৩
সারকথা
সারকথা
শব্দের খেয়ালে খোঁজার এক অকৃএিম চাহিদা
উড়তে চাওয়া মনে আলো ছায়ায় আল্পনা
জানি না কিসে নেওয়া কোথায় তার ধাম
জীবন মাপে সময়, ভুলে মন দোটানায়
আজিকে বাহিরে ঝড়, মনের কবিতা হওয়া
স্বপ্ন শেষের বাতি জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাওয়া
নিজেকে ফিরে দেখা প্রতিবছর পালা বদলের তরে
হৃদয়ের আবেগগুলো নখর চালায় কোমল অন্তরে
পাব কি, কি বা হবে, কিসের লড়াই চলে জীবনযুদ্ধের
মানি না, পারিনি মানতে জীবন মানে রাজনীতির দলে
বদলাই রঙ, রঙিন দিনের ধূসর গোধূলিতে সমাপ্তি
আকুতি মিনতি কত জীবনের তরে, জানাতে নেই ক্ষান্তি
হঠাৎ শান্ত শীতল বাতাস বয়ে চলে আপন খেয়ালে
এলোচুলে হারিয়ে যাওয়া খুঁজে ফিরি নিজের নিজেকে
জীবন শুরু সকালের চায়ে, শেষ সন্ধ্যের নীলতারাতে
কর্মযুদ্ধ পরিণতি ব্যাবসাযুদ্ধে, জীবন কেনেবেচে অর্থে
ষোলআনায় খুঁজতে গিয়ে আঠারো আনায় দেনা
সেই দেনার দোসর হয়ে আসে কতই যাতনা
এক যাতনার মুক্তি লোভে, অন্য যাতনার ধার
যাতনা পাঁক মরীচিকা, কভু মিটেও মেটে না আর
তোমার আমার শান্তি খোঁজা সে এক ললনার ন্যায়
ছলনা ছাড়া মেলে না কিছুই, জীবন দাঁড়িয়ে ঠায়
দীর্ঘশ্বাসের বাতাস ফিরিছে, ঘূর্ণিবাতের সঙ্কেত
কেঁপে কেঁপে ওঠে লেলিহান শিখা জীবন চলেছে যুদ্ধে
নীতিকাব্য নীতিকথা নীতির গ্রন্থে ঘুমায়
খুঁজবে কোথায়, পাবে না হেথায় সবই সময়ে হারায়
জীবন মরু মরীচিকা বোধে ছুটে চলা নিঃসহায়
সময় এলে সোয়াস্তি আসিবে যখন চির ঘুমের গোড়ায়
শব্দের খেয়ালে খোঁজার এক অকৃএিম চাহিদা
উড়তে চাওয়া মনে আলো ছায়ায় আল্পনা
জানি না কিসে নেওয়া কোথায় তার ধাম
জীবন মাপে সময়, ভুলে মন দোটানায়
আজিকে বাহিরে ঝড়, মনের কবিতা হওয়া
স্বপ্ন শেষের বাতি জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাওয়া
নিজেকে ফিরে দেখা প্রতিবছর পালা বদলের তরে
হৃদয়ের আবেগগুলো নখর চালায় কোমল অন্তরে
পাব কি, কি বা হবে, কিসের লড়াই চলে জীবনযুদ্ধের
মানি না, পারিনি মানতে জীবন মানে রাজনীতির দলে
বদলাই রঙ, রঙিন দিনের ধূসর গোধূলিতে সমাপ্তি
আকুতি মিনতি কত জীবনের তরে, জানাতে নেই ক্ষান্তি
হঠাৎ শান্ত শীতল বাতাস বয়ে চলে আপন খেয়ালে
এলোচুলে হারিয়ে যাওয়া খুঁজে ফিরি নিজের নিজেকে
জীবন শুরু সকালের চায়ে, শেষ সন্ধ্যের নীলতারাতে
কর্মযুদ্ধ পরিণতি ব্যাবসাযুদ্ধে, জীবন কেনেবেচে অর্থে
ষোলআনায় খুঁজতে গিয়ে আঠারো আনায় দেনা
সেই দেনার দোসর হয়ে আসে কতই যাতনা
এক যাতনার মুক্তি লোভে, অন্য যাতনার ধার
যাতনা পাঁক মরীচিকা, কভু মিটেও মেটে না আর
তোমার আমার শান্তি খোঁজা সে এক ললনার ন্যায়
ছলনা ছাড়া মেলে না কিছুই, জীবন দাঁড়িয়ে ঠায়
দীর্ঘশ্বাসের বাতাস ফিরিছে, ঘূর্ণিবাতের সঙ্কেত
কেঁপে কেঁপে ওঠে লেলিহান শিখা জীবন চলেছে যুদ্ধে
নীতিকাব্য নীতিকথা নীতির গ্রন্থে ঘুমায়
খুঁজবে কোথায়, পাবে না হেথায় সবই সময়ে হারায়
জীবন মরু মরীচিকা বোধে ছুটে চলা নিঃসহায়
সময় এলে সোয়াস্তি আসিবে যখন চির ঘুমের গোড়ায়
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩
নস্টালজিক মন
নস্টালজিক মন
আমি তারে ত জানি না
আমি হৃদয় মানি না
তবু সে হৃদয় মাঝে আছে
সে যে আসবে নাকো কাছে
সে চঞ্চল এক রমণী
হবে গো কার ভরণী
সে যে রইবে কোথায় চেয়ে
নিজের নয়ন জলে নেয়ে
আমি পথ হারায়ে নি যে
আমি হাত বাড়িয়েছি যে
আমি হার মানিনি যে
কেবল পড়ে গেছি ফাঁদে
এ ফাঁদ যায় না কভু দেখা
এ যে মন আড়ালে ঢাকা
আমি হারিয়ে গেছি হোথা
মন আড়ালে যেথা
আমি কভু তারে দেখিনি
আমি কভু তারে জানিনি
সে যে আমায় তবু জ্বালায়
কত কথায় মোরে কাঁদায়
মন যে বলে চিনি
তবু সত্যি করে জানি
আমি হৃদয় হারায়নি
আমি হৃদয় নিইনি
তবু মন যে বড় একা
খোঁজে মোর প্রানের মিতা
আমি হারিয়ে যেতে চাই
তার মনের গভীরতায়
তার স্বপ্ন দেখা আঁখি
সহজে দেয় না কোনও ফাঁকি
সে যে গভীর নীল চোখ
দিয়েছে গভীর চোট
আমায় নিয়ে খেলা
সে যে করে সারাবেলা
সে তো আর কোথাও নয়
সে যে মনের মাঝে রয়
এ তো মিছে স্বপন দেখা
তবু যায় না দূরে রাখা
সে যে আপন হতে চায়
আমার মনের গভীরতায়
মনের কত কথা
কেবল মিছেয় তো নয় সদা
কত আপন করে নিয়ে
জাল বুনেছে সে
হঠাৎ কি যে হয়ে গেল
কিছু ভুল কি মোর হোল
সে স্বপন আজ কোথা
হৃদয় কি তবে করলো বোকা
আমি তারে ত জানি না
আমি হৃদয় মানি না
তবু সে হৃদয় মাঝে আছে
সে যে আসবে নাকো কাছে
সে চঞ্চল এক রমণী
হবে গো কার ভরণী
সে যে রইবে কোথায় চেয়ে
নিজের নয়ন জলে নেয়ে
আমি পথ হারায়ে নি যে
আমি হাত বাড়িয়েছি যে
আমি হার মানিনি যে
কেবল পড়ে গেছি ফাঁদে
এ ফাঁদ যায় না কভু দেখা
এ যে মন আড়ালে ঢাকা
আমি হারিয়ে গেছি হোথা
মন আড়ালে যেথা
আমি কভু তারে দেখিনি
আমি কভু তারে জানিনি
সে যে আমায় তবু জ্বালায়
কত কথায় মোরে কাঁদায়
মন যে বলে চিনি
তবু সত্যি করে জানি
আমি হৃদয় হারায়নি
আমি হৃদয় নিইনি
তবু মন যে বড় একা
খোঁজে মোর প্রানের মিতা
আমি হারিয়ে যেতে চাই
তার মনের গভীরতায়
তার স্বপ্ন দেখা আঁখি
সহজে দেয় না কোনও ফাঁকি
সে যে গভীর নীল চোখ
দিয়েছে গভীর চোট
আমায় নিয়ে খেলা
সে যে করে সারাবেলা
সে তো আর কোথাও নয়
সে যে মনের মাঝে রয়
এ তো মিছে স্বপন দেখা
তবু যায় না দূরে রাখা
সে যে আপন হতে চায়
আমার মনের গভীরতায়
মনের কত কথা
কেবল মিছেয় তো নয় সদা
কত আপন করে নিয়ে
জাল বুনেছে সে
হঠাৎ কি যে হয়ে গেল
কিছু ভুল কি মোর হোল
সে স্বপন আজ কোথা
হৃদয় কি তবে করলো বোকা
বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩
গঙ্গা
গঙ্গা
ঝর ঝর ঝরে চলে নির্ভয়ে
কলকল্লোলিনী চলে বয়ে
হেথা হোথা ঘূর্ণির আবর্তে
নেমে এসেছে কত যুগ আগে মর্তে
উৎস খোঁজে যারা, বোঝা হায় তুমি মাতা
ভাসিয়ে নগর দেশ প্রান্তর যথা
তোমায় বাঁধবে কে, তুমি তো মহাধারা
সে ধারার সিঞ্চনে ভাঙ্গে কত শোকের কারা
তব প্রয়োজন ছিল মাগো হেথায় আসার
নেই কোনও অভিযোগ, আছে বোঝার
তোমার শীতল পরশে, সকলি যে প্রাণ পায়
যে শীতলতার নেই কোনও মাপকাঠি তাই
তব পরশে ঘোঁচে কত শোকের স্তব
তুমি মাতা বুঝেছ যে সব
তব গাথা যুগে যুগে বয়ে চলে তব সাথে
তোমার কি শেষ আছে এই সৃষ্টির হাতে
সৃষ্টির বিধাতা দিয়েছিল তোমারে বিধান
যার পরে নুয়ে মাথা করেছ প্রস্থান
ছাড়ি অমরলোক বিষ্ণু পদপ্রান্ত
নেমেছ ভূতলে হয়ে জটাই ক্ষান্ত
না তুমি চাহনি জননী ভাসাতে প্রান্তর
চেয়েছিলে পেতে স্থান ঐ জটার অন্তর
সেই স্থান তুমি ধন্য বরে পেয়েছিলে
তব চেয়ে মাগো আর কে বা ছিল
মহিমা তোমার অপার মাগো
যাহা পেয়েছি আর কিইবা চাবো
শস্য শ্যামল উর্বর প্রান্তর
তব আশিশে ফলে সোনা বিস্তর
সৃষ্টির মঙ্গল দায়িনী হে মাতা তুমি মহান
আপন পবিত্রতা করেছ সবারে দান
মোদের মাঝারে নিয়ে পাপ
দিয়েছ সুযোগ করিতে স্খালন যত শাপ
যুগ থেকে যুগে এই ধর্ম পালনে
করনি কুণ্ঠা, তুমি যোগ্য লালনে
সৃষ্টি আজিকে তাই বন্দিছে তব গাথা
বোঝালে সকলি দিয়ে তুমিই অনন্যা গঙ্গা মাতা
ঝর ঝর ঝরে চলে নির্ভয়ে
কলকল্লোলিনী চলে বয়ে
হেথা হোথা ঘূর্ণির আবর্তে
নেমে এসেছে কত যুগ আগে মর্তে
উৎস খোঁজে যারা, বোঝা হায় তুমি মাতা
ভাসিয়ে নগর দেশ প্রান্তর যথা
তোমায় বাঁধবে কে, তুমি তো মহাধারা
সে ধারার সিঞ্চনে ভাঙ্গে কত শোকের কারা
তব প্রয়োজন ছিল মাগো হেথায় আসার
নেই কোনও অভিযোগ, আছে বোঝার
তোমার শীতল পরশে, সকলি যে প্রাণ পায়
যে শীতলতার নেই কোনও মাপকাঠি তাই
তব পরশে ঘোঁচে কত শোকের স্তব
তুমি মাতা বুঝেছ যে সব
তব গাথা যুগে যুগে বয়ে চলে তব সাথে
তোমার কি শেষ আছে এই সৃষ্টির হাতে
সৃষ্টির বিধাতা দিয়েছিল তোমারে বিধান
যার পরে নুয়ে মাথা করেছ প্রস্থান
ছাড়ি অমরলোক বিষ্ণু পদপ্রান্ত
নেমেছ ভূতলে হয়ে জটাই ক্ষান্ত
না তুমি চাহনি জননী ভাসাতে প্রান্তর
চেয়েছিলে পেতে স্থান ঐ জটার অন্তর
সেই স্থান তুমি ধন্য বরে পেয়েছিলে
তব চেয়ে মাগো আর কে বা ছিল
মহিমা তোমার অপার মাগো
যাহা পেয়েছি আর কিইবা চাবো
শস্য শ্যামল উর্বর প্রান্তর
তব আশিশে ফলে সোনা বিস্তর
সৃষ্টির মঙ্গল দায়িনী হে মাতা তুমি মহান
আপন পবিত্রতা করেছ সবারে দান
মোদের মাঝারে নিয়ে পাপ
দিয়েছ সুযোগ করিতে স্খালন যত শাপ
যুগ থেকে যুগে এই ধর্ম পালনে
করনি কুণ্ঠা, তুমি যোগ্য লালনে
সৃষ্টি আজিকে তাই বন্দিছে তব গাথা
বোঝালে সকলি দিয়ে তুমিই অনন্যা গঙ্গা মাতা
শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৩
তোমাকে হারিয়ে
তোমাকে হারিয়ে
কিছু ছিল করার, তোমাকে নিয়ে আমার
বেঁধে ছিলাম মনে কিছু স্বপ্নের জাল
এগিয়েছিলাম পথে দুহাত বাড়িয়ে
পারিনি চলতে তোমার দুহাতে হাত রেখে
যা কিছু আমার পাওয়া, তোমায় হারিয়ে নেওয়া
যা কিছুই হই তোমাই পাব কই
তুমিতো আমার রক্তে মিশে গেছ পদ্য হয়ে
যন্ত্রণা তোমার যে আছে, ফুটে ওঠে আমার দেহে
হয়ত আমি বন্য, কিছুটা আদিম,
ওগো তুমি অনন্যা করেছ মোরে স্বাধীন
কোথাই পাব তোমায় ভাঙ্গা এ মন হৃদয়
কেবলই তুমি আমার বাঁধিয়া চিরদিন
চলতে চলতে বছর কয়েক আগে
ফেলে আসা কোনও এক পথের বাঁকে
তোমারই অগোছালো কবরী মূলে
কত স্বপ্ন ছিল যা আমাদের বাঁধে
জীবন যাতনা মোর
সৃষ্টির উদাসীনতাই বিভোর
কাটেনা সময় আমার
যন্ত্রণার বাহিরে বারবার
তব আঁখির পরে চেয়ে চেয়ে
দিন যেত কেটে, চোখের আড়ালে
এখন শুধুই শ্রাবণ, দৃষ্টি গেছে হারিয়ে
তোমাকে খুঁজব কোথাই, দৃষ্টি ক্ষীণতাই ভোগে
হারিয়ে গেছ তুমি
কোন সে মায়ালোকে
খুজিনা তোমাই আর
তবু মন যে আপন ভাবে
ভাবের খেলাই, পথের বাঁকে
দৃষ্টি তবু তোমার আসার পথে
জানে মন তুমি আসিবে না আর
বড়ই আভিমানী মন যে তোমার
ভুলে গেছ তুমি তোমারই সাক্ষাৎ তরে
কেটেছে কতনা মোর দাঁড়িয়ে রাস্তার ধারে
তপ্ত দুপুর জ্বলেছে এ মন বারবার
এসেছ তুমি বৃষ্টি হয়ে হৃদয়ে আমার
কেটেছে সময় জীবন, হাঁটছি তপ্ত বালুর পথে
রোজনামচা বদলে গেছে যখন হারায় তোমাকে
ভাষা মোর হারায়ে গেছে, শুকায়ে গিয়াছে আশ
জানিনা কোন কিসের দোষে, এই যে সর্বনাশ।
কিছু ছিল করার, তোমাকে নিয়ে আমার
বেঁধে ছিলাম মনে কিছু স্বপ্নের জাল
এগিয়েছিলাম পথে দুহাত বাড়িয়ে
পারিনি চলতে তোমার দুহাতে হাত রেখে
যা কিছু আমার পাওয়া, তোমায় হারিয়ে নেওয়া
যা কিছুই হই তোমাই পাব কই
তুমিতো আমার রক্তে মিশে গেছ পদ্য হয়ে
যন্ত্রণা তোমার যে আছে, ফুটে ওঠে আমার দেহে
হয়ত আমি বন্য, কিছুটা আদিম,
ওগো তুমি অনন্যা করেছ মোরে স্বাধীন
কোথাই পাব তোমায় ভাঙ্গা এ মন হৃদয়
কেবলই তুমি আমার বাঁধিয়া চিরদিন
চলতে চলতে বছর কয়েক আগে
ফেলে আসা কোনও এক পথের বাঁকে
তোমারই অগোছালো কবরী মূলে
কত স্বপ্ন ছিল যা আমাদের বাঁধে
জীবন যাতনা মোর
সৃষ্টির উদাসীনতাই বিভোর
কাটেনা সময় আমার
যন্ত্রণার বাহিরে বারবার
তব আঁখির পরে চেয়ে চেয়ে
দিন যেত কেটে, চোখের আড়ালে
এখন শুধুই শ্রাবণ, দৃষ্টি গেছে হারিয়ে
তোমাকে খুঁজব কোথাই, দৃষ্টি ক্ষীণতাই ভোগে
হারিয়ে গেছ তুমি
কোন সে মায়ালোকে
খুজিনা তোমাই আর
তবু মন যে আপন ভাবে
ভাবের খেলাই, পথের বাঁকে
দৃষ্টি তবু তোমার আসার পথে
জানে মন তুমি আসিবে না আর
বড়ই আভিমানী মন যে তোমার
ভুলে গেছ তুমি তোমারই সাক্ষাৎ তরে
কেটেছে কতনা মোর দাঁড়িয়ে রাস্তার ধারে
তপ্ত দুপুর জ্বলেছে এ মন বারবার
এসেছ তুমি বৃষ্টি হয়ে হৃদয়ে আমার
কেটেছে সময় জীবন, হাঁটছি তপ্ত বালুর পথে
রোজনামচা বদলে গেছে যখন হারায় তোমাকে
ভাষা মোর হারায়ে গেছে, শুকায়ে গিয়াছে আশ
জানিনা কোন কিসের দোষে, এই যে সর্বনাশ।
রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩
আগমনী
আগমনী
আপন নিয়মে চলছে চলি নেইকো বাঁধা ধরা
সৃষ্টির নিয়ম প্রকৃতির রকম সবই অবাক করা
নয়ন সমুখে ঘটে চলে যায় কতনা ভাবের খেলা
তোমার আমার মেলে না সময় পথ চেয়ে সেই বেলা
বরিষণ শেষে কবে কেটে গেছে কালর সেই হ্রেষা
এসেছে পরশ শান্ত হিমেল বাতাসে ধরেছে নেশা
মৃদুমন্দ হয়ে ছন্দ বহিছে যে হেথা হোথা
কাননে কাননে জাগিছে যে ধ্বনি, নেই যে কোনো ব্যাথা
নতুন প্রভাতে হয়ে প্রভাতী ঐ দিনমণি ওঠে
পূব গগনের জলধি যে আজ সেই রঙ মাখে ঠোঁটে
অবাক নয়নে প্রকৃতি আজিকে দেখে ধরণীর পড়ে
কত মুক্তার মালা যেন আজ তৃণের মুকুট গড়ে
রাতের স্নেহ সঞ্চিত হয়ে ঝড়ে পড়ে টুপটাপ
শিউলি শিথিল করবীর মূলে জানায় আশীর্বাদ
শিউলি সুপ্ত এখনও ঘুমন্ত, কোল সে মাটির পড়ে
ঝড়ে পড়েছে জানাতে অর্ঘ্য আগমনীর তরে
কাশফুল গুলি দুলিছে হেথায়, পাগল তাদের মন
তারাই জানে এসময় মাঝে তাদেরই সর্বক্ষণ
নেইকো ভাবনা শান্ত লালসা প্রকৃতি খেয়াল মাঝে
সময় ফুরালে ফুরাবে সকলি, কাজ যে অনেক আছে
আমলকী বনে জেগেছে সাড়া বেড়ে চলে তার স্পন্দন
কত সজনেরে হবে হারাতে এই যে বিধাতার নিয়ম
ঝড়ে ঝড়ে যাবে তার সমুখে কতনা সবুজ প্রাণ
এবুঝে তার থামে না বেদনা, বয়ে চলে অশ্রু গান
ঊদাত্ত কণ্ঠে প্রকৃতি চাহিছে মাতৃ আরাধনা
তাই কি বুঝি আকাশ গাঙ্গে পানসির আনাগোনা
তর্পণ দিয়ে শুরু হয়েছিল যে বন্দনার গান
দিন চারেকে শেষ হয়ে যাবে তার শত আয়োজন
তবুও ফুটিবে শিউলি করবী, লুটিবে মাটির পড়ে
হয়ে লুটিত মূর্ছিত প্রাণ মাতৃ আরাধনার তরে
তব মূর্ছনা বলিতে চাহে যে, জননী রেখো মোদের মান
দিয়ো কথা মাগো, এসো ঠিক যেন আবার পরের সন
মাগো তব বছর ফিরে চারিটি দিনের তরে
আগমন হেথা শুধু প্রকৃতি নই, সৃষ্টি সুন্দর করে
অবুঝ কাঙাল মন গুলি হেথা ফিরে ফিরে পায় দ্যুতি
ফোটে যে হাসি, মাতে যে খেলাই ম্লান মুখে আসে জ্যোতি
পথ পরে ফুটিছে কতনা ফুলের সারি
দিতে চাহে সব তোমারি তরে শীষ রেখে নুয়ে পড়ি
আপন খেলার পথ পরে যবে ফেরে সে আপন মনে
পল্লিবালা বাঁধে কবরী, পথ চেয়ে গৃহকোণে
সাজায়ে নিজেরে সন্ধ্যা প্রদীপে ম্লান আলোয় দেখি
যাবে সে দূরের কোনও এক গাঁয়ে দেখিতে সন্ধ্যারতি
আপন মনের মাধুরি মিশায়ে রাখাল বালক আজ
বুঝেছে সে, নিয়েছে জেনে নেই তার কোনও কাজ
অলস বাতাসে ধুপ চন্দনের সুবাস যে যাই বহে
সেই সুবাসে বাঁশরীর সুর, শরতকে বাঁধে মোহে
দূর নীলিমায় গিয়েছে দেখা এক টুকরো আলো
শ্বেত চন্দনে মাখি সে আলোয় কেটেছে নিকষ কালো
ক্ষীণ ভেসে আসে ছন্দের লয় মাতৃ আরাধনা
যুগে যুগে ধরিয়া বাঁধিয়া শরত করেছে বন্দনা।
আপন নিয়মে চলছে চলি নেইকো বাঁধা ধরা
সৃষ্টির নিয়ম প্রকৃতির রকম সবই অবাক করা
নয়ন সমুখে ঘটে চলে যায় কতনা ভাবের খেলা
তোমার আমার মেলে না সময় পথ চেয়ে সেই বেলা
বরিষণ শেষে কবে কেটে গেছে কালর সেই হ্রেষা
এসেছে পরশ শান্ত হিমেল বাতাসে ধরেছে নেশা
মৃদুমন্দ হয়ে ছন্দ বহিছে যে হেথা হোথা
কাননে কাননে জাগিছে যে ধ্বনি, নেই যে কোনো ব্যাথা
নতুন প্রভাতে হয়ে প্রভাতী ঐ দিনমণি ওঠে
পূব গগনের জলধি যে আজ সেই রঙ মাখে ঠোঁটে
অবাক নয়নে প্রকৃতি আজিকে দেখে ধরণীর পড়ে
কত মুক্তার মালা যেন আজ তৃণের মুকুট গড়ে
রাতের স্নেহ সঞ্চিত হয়ে ঝড়ে পড়ে টুপটাপ
শিউলি শিথিল করবীর মূলে জানায় আশীর্বাদ
শিউলি সুপ্ত এখনও ঘুমন্ত, কোল সে মাটির পড়ে
ঝড়ে পড়েছে জানাতে অর্ঘ্য আগমনীর তরে
কাশফুল গুলি দুলিছে হেথায়, পাগল তাদের মন
তারাই জানে এসময় মাঝে তাদেরই সর্বক্ষণ
নেইকো ভাবনা শান্ত লালসা প্রকৃতি খেয়াল মাঝে
সময় ফুরালে ফুরাবে সকলি, কাজ যে অনেক আছে
আমলকী বনে জেগেছে সাড়া বেড়ে চলে তার স্পন্দন
কত সজনেরে হবে হারাতে এই যে বিধাতার নিয়ম
ঝড়ে ঝড়ে যাবে তার সমুখে কতনা সবুজ প্রাণ
এবুঝে তার থামে না বেদনা, বয়ে চলে অশ্রু গান
ঊদাত্ত কণ্ঠে প্রকৃতি চাহিছে মাতৃ আরাধনা
তাই কি বুঝি আকাশ গাঙ্গে পানসির আনাগোনা
তর্পণ দিয়ে শুরু হয়েছিল যে বন্দনার গান
দিন চারেকে শেষ হয়ে যাবে তার শত আয়োজন
তবুও ফুটিবে শিউলি করবী, লুটিবে মাটির পড়ে
হয়ে লুটিত মূর্ছিত প্রাণ মাতৃ আরাধনার তরে
তব মূর্ছনা বলিতে চাহে যে, জননী রেখো মোদের মান
দিয়ো কথা মাগো, এসো ঠিক যেন আবার পরের সন
মাগো তব বছর ফিরে চারিটি দিনের তরে
আগমন হেথা শুধু প্রকৃতি নই, সৃষ্টি সুন্দর করে
অবুঝ কাঙাল মন গুলি হেথা ফিরে ফিরে পায় দ্যুতি
ফোটে যে হাসি, মাতে যে খেলাই ম্লান মুখে আসে জ্যোতি
পথ পরে ফুটিছে কতনা ফুলের সারি
দিতে চাহে সব তোমারি তরে শীষ রেখে নুয়ে পড়ি
আপন খেলার পথ পরে যবে ফেরে সে আপন মনে
পল্লিবালা বাঁধে কবরী, পথ চেয়ে গৃহকোণে
সাজায়ে নিজেরে সন্ধ্যা প্রদীপে ম্লান আলোয় দেখি
যাবে সে দূরের কোনও এক গাঁয়ে দেখিতে সন্ধ্যারতি
আপন মনের মাধুরি মিশায়ে রাখাল বালক আজ
বুঝেছে সে, নিয়েছে জেনে নেই তার কোনও কাজ
অলস বাতাসে ধুপ চন্দনের সুবাস যে যাই বহে
সেই সুবাসে বাঁশরীর সুর, শরতকে বাঁধে মোহে
দূর নীলিমায় গিয়েছে দেখা এক টুকরো আলো
শ্বেত চন্দনে মাখি সে আলোয় কেটেছে নিকষ কালো
ক্ষীণ ভেসে আসে ছন্দের লয় মাতৃ আরাধনা
যুগে যুগে ধরিয়া বাঁধিয়া শরত করেছে বন্দনা।
রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৩
একটি নদী
একটি নদী
আমার তো বেশ মনে পড়ে
আজও আমি যাইনি ভুলে
নাম না জানা নদী ওরে
বয়ে যেতো দূকুল ছুঁয়ে।
দিবস রাতি তাড়িই পাড়ে
কত লোকে বসত যে গড়ে
নদীর বালি চড়া রোদে
ডাক দিত যে ব্যাকুল করে।
তারি টানে ছুটে যেতাম
ঘাটের পড়ে দিয়ে দিতাম
ছোট্ট একটি ডুব
তখন চারিদিক নিশ্চুপ।
তখন নদীর জলে ভিড়টি করে
শালিক কিছু চানটি সারে
খোলামনে সাঁতরে নিতে
নৌকা কিছু পাড়ি দিত।
মনে আমার হত তখন
আমি মাঝি হব কখন
ইচ্ছামতো হারিয়ে যাব
মনের মতো গানটি গাব।
সূর্য্যি যবে অস্তমিত
নৌকা দূরে হারিয়ে যেত
ভাটিয়ালি গানের যে রেশ
সন্ধ্যে বেলাই শোনাত বেশ।
দূর গগনের তারার দল
দিয়েছে দেখা গান শোনার ছল
ভোরটি হলে মিলিয়ে যেত
ঘরে ফেরার সময় হত।
গানের খেয়া ঘাটে ফিরে
মাঝিরা সব বসে ঘিরে
জমিয়ে দিত কথা দিয়ে
সুখ দুঃখের পসরা নিয়ে।
কথা শেষ হবার আগে
পূব গগনে আগুন লাগে
একে একে সময় করে
ঘাটটিকে যে ফেলল ঘিরে।
নানান আওয়াজ নানান কাজে
নদীর জলে মল যে বাজে
বেলা শেষের সময় এলে
ঘাটটি তখন ফাঁকা হলে।
নৌকাগুলো চলে গেছে
মন যে আমার পিছে পিছে
হারিয়ে যেতাম মাঝ নদীতে
দূরগগনে গানের স্রোতে।
নদীটির আজ শীর্ণ কায়া
হাতছানি দেয় বিষাদ ছায়া
হারিয়ে গেছে ভাটিয়ালি গান
ঘাটের পাড়ে কত কলতান।
বন্দী হয়ে লোহার খাঁচাই
নদী যে তার স্রোতটি হারায়
বুজে গেছে তার যে ধারা
বুকে তার হঠাৎ খরা।
নদী চলে বিষাদ ভারে
অতীত স্মৃতির পটটি ধরে
বিষাদ বুকে জল যে আসে
তখন বানে দুকূল ভাসে।
আমার তো বেশ মনে পড়ে
আজও আমি যাইনি ভুলে
নাম না জানা নদী ওরে
বয়ে যেতো দূকুল ছুঁয়ে।
দিবস রাতি তাড়িই পাড়ে
কত লোকে বসত যে গড়ে
নদীর বালি চড়া রোদে
ডাক দিত যে ব্যাকুল করে।
তারি টানে ছুটে যেতাম
ঘাটের পড়ে দিয়ে দিতাম
ছোট্ট একটি ডুব
তখন চারিদিক নিশ্চুপ।
তখন নদীর জলে ভিড়টি করে
শালিক কিছু চানটি সারে
খোলামনে সাঁতরে নিতে
নৌকা কিছু পাড়ি দিত।
মনে আমার হত তখন
আমি মাঝি হব কখন
ইচ্ছামতো হারিয়ে যাব
মনের মতো গানটি গাব।
সূর্য্যি যবে অস্তমিত
নৌকা দূরে হারিয়ে যেত
ভাটিয়ালি গানের যে রেশ
সন্ধ্যে বেলাই শোনাত বেশ।
দূর গগনের তারার দল
দিয়েছে দেখা গান শোনার ছল
ভোরটি হলে মিলিয়ে যেত
ঘরে ফেরার সময় হত।
গানের খেয়া ঘাটে ফিরে
মাঝিরা সব বসে ঘিরে
জমিয়ে দিত কথা দিয়ে
সুখ দুঃখের পসরা নিয়ে।
কথা শেষ হবার আগে
পূব গগনে আগুন লাগে
একে একে সময় করে
ঘাটটিকে যে ফেলল ঘিরে।
নানান আওয়াজ নানান কাজে
নদীর জলে মল যে বাজে
বেলা শেষের সময় এলে
ঘাটটি তখন ফাঁকা হলে।
নৌকাগুলো চলে গেছে
মন যে আমার পিছে পিছে
হারিয়ে যেতাম মাঝ নদীতে
দূরগগনে গানের স্রোতে।
নদীটির আজ শীর্ণ কায়া
হাতছানি দেয় বিষাদ ছায়া
হারিয়ে গেছে ভাটিয়ালি গান
ঘাটের পাড়ে কত কলতান।
বন্দী হয়ে লোহার খাঁচাই
নদী যে তার স্রোতটি হারায়
বুজে গেছে তার যে ধারা
বুকে তার হঠাৎ খরা।
নদী চলে বিষাদ ভারে
অতীত স্মৃতির পটটি ধরে
বিষাদ বুকে জল যে আসে
তখন বানে দুকূল ভাসে।
বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
স্বপ্ন
স্বপ্ন
স্বপ্ন স্বপ্ন শুধু কত ছবি কথা কিছু
ভেসে ওঠে মনেরই আয়নায়।
সারাদিন পথ চলা ক্লান্তিতে ঢুলে পড়া
স্বপ্নটা নড়ে ওঠে ছায়ায় ছায়ায়।
জীবনের আঁকে বাঁকে কতস্মৃতি জমা থাকে
বিষাদ কভু মন চাই না।
মনকে ভোলাতে তাই কল্পনার রেশ ভাই
স্বপ্নের ফিতেই পড়ে টানটা।
জীবনের ওঠা পড়া বয়েসের ভাঙ্গা গড়া
জুড়ে জুড়ে হয় চালচিত্র।
মনের গভীরে হায় কখন যে বেজে যায়
জীবনের এই বড় সত্য।
ঘুমের বন্ধু সে জীবনের একপেশে
দুঃখের বাঁধন করে ছিন্ন।
নতুবা যুগের তরে মানুষ তো ঘুরে ঘুরে
হয়ে যেত্ জরাজীর্ণ।
ক্ষুধিত পাষাণ মানুষ ওড়ায় রঙিন ফানুস
ভাঙ্গে কত জননীর গৃহকোণ।
স্বার্থ বিপন্ন হলে মানুষ মানুষই দলে
দুঃখেই ভরে তোলে কত মন।
জীবন যাতনা যাহা মানুষই স্রস্টা তাহা
দিওনাকো কভু দোষ বিধাতারে।
বিধাতা বুঝিয়া তাই দিয়েছিল যতনে ঠাঁই
মনের কোঠরে তারে সাধ করে।
স্বার্থ মলিন ধারার বুকে পিষছে মানুষ যুগে যুগে
এযে নরকের বড় অভিশাপ।
স্বপ্ন সুধা হয়ে ঝড়ে যাই নির্ভয়ে
মনের গোপনে যেথা নেই পাপ।
মানুষ আশায় বাঁচে নতুবা আর কি ধাঁচে
যুগে যুগে বাঁচিবে এ ধরায়।
ব্রক্ষার দিনমান যবে হবে অবসান
স্বপ্নের বিদায় হবে নিশ্চয়।
স্বপ্ন স্বপ্ন শুধু কত ছবি কথা কিছু
ভেসে ওঠে মনেরই আয়নায়।
সারাদিন পথ চলা ক্লান্তিতে ঢুলে পড়া
স্বপ্নটা নড়ে ওঠে ছায়ায় ছায়ায়।
জীবনের আঁকে বাঁকে কতস্মৃতি জমা থাকে
বিষাদ কভু মন চাই না।
মনকে ভোলাতে তাই কল্পনার রেশ ভাই
স্বপ্নের ফিতেই পড়ে টানটা।
জীবনের ওঠা পড়া বয়েসের ভাঙ্গা গড়া
জুড়ে জুড়ে হয় চালচিত্র।
মনের গভীরে হায় কখন যে বেজে যায়
জীবনের এই বড় সত্য।
ঘুমের বন্ধু সে জীবনের একপেশে
দুঃখের বাঁধন করে ছিন্ন।
নতুবা যুগের তরে মানুষ তো ঘুরে ঘুরে
হয়ে যেত্ জরাজীর্ণ।
ক্ষুধিত পাষাণ মানুষ ওড়ায় রঙিন ফানুস
ভাঙ্গে কত জননীর গৃহকোণ।
স্বার্থ বিপন্ন হলে মানুষ মানুষই দলে
দুঃখেই ভরে তোলে কত মন।
জীবন যাতনা যাহা মানুষই স্রস্টা তাহা
দিওনাকো কভু দোষ বিধাতারে।
বিধাতা বুঝিয়া তাই দিয়েছিল যতনে ঠাঁই
মনের কোঠরে তারে সাধ করে।
স্বার্থ মলিন ধারার বুকে পিষছে মানুষ যুগে যুগে
এযে নরকের বড় অভিশাপ।
স্বপ্ন সুধা হয়ে ঝড়ে যাই নির্ভয়ে
মনের গোপনে যেথা নেই পাপ।
মানুষ আশায় বাঁচে নতুবা আর কি ধাঁচে
যুগে যুগে বাঁচিবে এ ধরায়।
ব্রক্ষার দিনমান যবে হবে অবসান
স্বপ্নের বিদায় হবে নিশ্চয়।
মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
শ্রম
শ্রম
দূর আকাশ নীল নীলিমায় ঢাকা বিস্তৃত প্রান্তর
মধ্যেখানে দিগন্ত জোড়া বালির চর
জোয়ার ভাঁটার নেইকো বিরাম, আছে লয়
না সে গানের নয়, ওঠা পড়ার ঘোষণা বয়।
না বওয়া সে বাতাসের কিসের প্রতীক্ষার তরে
নূতন প্রজন্ম পুরানোকে ডেকে দাবি করে
আমি চঞ্চল স্বপ্নের বাস্তব রুপ দিতেছি
মোদের চেতনা স্রোতের বাঁকে বাঁকেই ধরে রেখেছি।
তব মত নই হীন দুর্বল, আছে শক্তি বাহুতে বল
ঘটনার নিত্যতা, পুরানোর বিড়ম্বনার নেইকো ছল
সে যে এক কাহিনী, সৃষ্টির নিয়মে বাঁধা পড়ে আছে
হেথা হোথা প্রতিদিনই ভাঙছে খেয়ালে, কে গড়ে?
গড়ি আমরা দূর্বার শক্তিতে, ভাঙ্গিও তেমনি ঢঙে
জীবন মোদের, খেয়াল মোদের সবই যে রঙচঙে
হাঁটি না মোরা বাস্তব তালে গড়িনা ক্ষুদ্র পথ
মোদের বিশালতা দেখিবে যদি, দেখিবে একটি মত।
তব খেয়ালের ভাঙ্গা গড়াই আসেনা মোদের কিছু
মোরা গড়ি শুধু বহু আশ নিয়ে ভাঙনেরে রেখে পিছু
পথপ্রান্তের দেবালয় থেকে শূন্যে মহাকাশে
মোরা রয়েছি উড়ায়ে সে ধ্বজারে, যাকে বেঁধে ছিলে পাশে।
মুক্তিকামী মোরা, বিছিন্ন তবু নই মনে
হয়ত ভাসিব স্বপ্নের রঙে, বাস্তবকে নিয়ে মেনে
আমরা গড়ছি নূতন সকাল, যেথা দিবামণি ওঠে
যায়নাকো কভু সেই দিবামণি অস্তাচলের পাটে।
আমরা এহেন বরেই ধনী, ভাঙিগরি খেয়াল বশে
আমরা জেনেছি যুগের তরে শ্রমই কীর্তি চষে
শ্রম দান হেথা স্বর্গ রাজও পাই নাকো কিছু জিতে
নইতো সকলের পুরিত অভিলাষ, স্রস্টাকে কি কিছু দিতে?
হত না ধরার গৌরব উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল
জগত্ রচিয়া বিধাতা দানিলেন শ্রমেরই দীপ প্রজ্বল।
দূর আকাশ নীল নীলিমায় ঢাকা বিস্তৃত প্রান্তর
মধ্যেখানে দিগন্ত জোড়া বালির চর
জোয়ার ভাঁটার নেইকো বিরাম, আছে লয়
না সে গানের নয়, ওঠা পড়ার ঘোষণা বয়।
না বওয়া সে বাতাসের কিসের প্রতীক্ষার তরে
নূতন প্রজন্ম পুরানোকে ডেকে দাবি করে
আমি চঞ্চল স্বপ্নের বাস্তব রুপ দিতেছি
মোদের চেতনা স্রোতের বাঁকে বাঁকেই ধরে রেখেছি।
তব মত নই হীন দুর্বল, আছে শক্তি বাহুতে বল
ঘটনার নিত্যতা, পুরানোর বিড়ম্বনার নেইকো ছল
সে যে এক কাহিনী, সৃষ্টির নিয়মে বাঁধা পড়ে আছে
হেথা হোথা প্রতিদিনই ভাঙছে খেয়ালে, কে গড়ে?
গড়ি আমরা দূর্বার শক্তিতে, ভাঙ্গিও তেমনি ঢঙে
জীবন মোদের, খেয়াল মোদের সবই যে রঙচঙে
হাঁটি না মোরা বাস্তব তালে গড়িনা ক্ষুদ্র পথ
মোদের বিশালতা দেখিবে যদি, দেখিবে একটি মত।
তব খেয়ালের ভাঙ্গা গড়াই আসেনা মোদের কিছু
মোরা গড়ি শুধু বহু আশ নিয়ে ভাঙনেরে রেখে পিছু
পথপ্রান্তের দেবালয় থেকে শূন্যে মহাকাশে
মোরা রয়েছি উড়ায়ে সে ধ্বজারে, যাকে বেঁধে ছিলে পাশে।
মুক্তিকামী মোরা, বিছিন্ন তবু নই মনে
হয়ত ভাসিব স্বপ্নের রঙে, বাস্তবকে নিয়ে মেনে
আমরা গড়ছি নূতন সকাল, যেথা দিবামণি ওঠে
যায়নাকো কভু সেই দিবামণি অস্তাচলের পাটে।
আমরা এহেন বরেই ধনী, ভাঙিগরি খেয়াল বশে
আমরা জেনেছি যুগের তরে শ্রমই কীর্তি চষে
শ্রম দান হেথা স্বর্গ রাজও পাই নাকো কিছু জিতে
নইতো সকলের পুরিত অভিলাষ, স্রস্টাকে কি কিছু দিতে?
হত না ধরার গৌরব উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল
জগত্ রচিয়া বিধাতা দানিলেন শ্রমেরই দীপ প্রজ্বল।
সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
সময়
সময়
অসীম উদ্ভ্রান্ত পাগলের মতো ছুটে চলা আমার স্বভাব
আমার গতিতে তাল মেলাতে মেলাতে ক্লান্ত তুমি
তবু নেই মোর কোন বিচলতা।
আমি এহেন সৃষ্টির স্রস্টা মহান
দিয়াছেন তিনি অবাধ গতি, চঞ্চলতা অপার
পাইনি থামবার এতটুকু শক্তি।
আমি ছুটে চলি উদ্ভ্রান্তের মতো পলক ফেলতেই
অতীত পেরিয়ে, বর্তমান ছুয়ে, ভবিয্যতের দিকে
এই ছোটা অন্তহীন সৃষ্টির খেয়ালেই।
জানতে আমার সমীকরণ তব প্রচেষ্টা প্রচুর
তবু পারনি বাঁধতে, তোমার সীমিত গনিতে
আমি সৃষ্টির বলে বলীয়ান আমাই বশীবে কে।
আমাকে বাঁধবে সাধ্য কি তোমার
তাইতো মাপছ আমাই বিভিন্ন সংজ্ঞাই
মিলিসেকেন্ড, সেকেন্ড, মিনিট বা ঘণ্টাই।
সম্মুখ পথে যাহা পাই হয় ইতিহাস, রচি নূতন ভাবে
গড়ি নূতন কিছু পুরানোকে বদলে দিয়ে
আমি সেই অদৃশ্য চিরসাথী ডাইমেনশন সময় আমাকে বলে।
অসীম উদ্ভ্রান্ত পাগলের মতো ছুটে চলা আমার স্বভাব
আমার গতিতে তাল মেলাতে মেলাতে ক্লান্ত তুমি
তবু নেই মোর কোন বিচলতা।
আমি এহেন সৃষ্টির স্রস্টা মহান
দিয়াছেন তিনি অবাধ গতি, চঞ্চলতা অপার
পাইনি থামবার এতটুকু শক্তি।
আমি ছুটে চলি উদ্ভ্রান্তের মতো পলক ফেলতেই
অতীত পেরিয়ে, বর্তমান ছুয়ে, ভবিয্যতের দিকে
এই ছোটা অন্তহীন সৃষ্টির খেয়ালেই।
জানতে আমার সমীকরণ তব প্রচেষ্টা প্রচুর
তবু পারনি বাঁধতে, তোমার সীমিত গনিতে
আমি সৃষ্টির বলে বলীয়ান আমাই বশীবে কে।
আমাকে বাঁধবে সাধ্য কি তোমার
তাইতো মাপছ আমাই বিভিন্ন সংজ্ঞাই
মিলিসেকেন্ড, সেকেন্ড, মিনিট বা ঘণ্টাই।
সম্মুখ পথে যাহা পাই হয় ইতিহাস, রচি নূতন ভাবে
গড়ি নূতন কিছু পুরানোকে বদলে দিয়ে
আমি সেই অদৃশ্য চিরসাথী ডাইমেনশন সময় আমাকে বলে।
আশিস-ধুলি
আশিস-ধুলি
গুরুগম্ভীর নিনাদ বাজিছে,
অক্ষৌহনী সেনা যে সাজিছে
যুদ্ধের একি ভীষণসজ্জা।
হবে ঘোর লড়াই
বেড়েছে দৈত্যের বড়াই
চূর্ণ করতে তার মজ্জা।
তিলে তিলে ঢাকা
ঐ নীল চাকা
কালো বরণ তিমিরে।
তিমিরে ঢাকিছে ধরা
অশুভ শক্তি ত্বরা
চাইছে জিনিতে মিহিরে।
শুভ্র দিনের আলো
হলো যে কখন কালো
সৃষ্টিকে করছে আজ অধিকার।
ক্ষণিকের চকিতে যায়
বজ্র বিষম ধায়
করিতে তিমিরে ছারখার।
চলেছে লড়াই হোথা
শোণিতের ধারা হেথা
ঝরে চলে, চলে ঝরে ঝিরঝির।
ভাসিছে ধরা আজ
নেই কারো কোন কাজ
কেঁপে চলে ভূলোক আজ থিরথির।
ধরণীর প্রান ক্ষুধা
মেটাই শোণিত সুধা
যোগাই প্রাণরস তৃণমূলে।
অসুর বিনাশ যায়
দেবতার হয় জয়
তবুও লড়াই আরও হয় ভুলে।
ভেঙ্গেছে ভেঙ্গেছে বাঁধ
দেখা গেছে দূ্র চাঁদ
তিমির হঠে গেল পিছে।
কোথা গেল সে আঁধার
ঢেঁকে দিয়ে দুইপার
জিনিতে যে এ গোলক মিছে।
আলোর ঝরণা আসে
ধরণীর বুক ভাসে
চিক চিক করে ওঠে প্রান্তর।
গিরিরাজ মাথাতুলে
চায় যে ছুঁতে ভুলে
অমৃতের সাদা ঐ ভাণ্ডার।
মিঠে বায়ু কেমন বয়
তুলেছে নূতন লয়
পএ মাঝারে বাজে করতালি।
সৃষ্টিযে প্রান পেল
অভিশাপ হয়ে গেল
স্রষ্টার অপরুপ আশিস-ধুলি।
গুরুগম্ভীর নিনাদ বাজিছে,
অক্ষৌহনী সেনা যে সাজিছে
যুদ্ধের একি ভীষণসজ্জা।
হবে ঘোর লড়াই
বেড়েছে দৈত্যের বড়াই
চূর্ণ করতে তার মজ্জা।
তিলে তিলে ঢাকা
ঐ নীল চাকা
কালো বরণ তিমিরে।
তিমিরে ঢাকিছে ধরা
অশুভ শক্তি ত্বরা
চাইছে জিনিতে মিহিরে।
শুভ্র দিনের আলো
হলো যে কখন কালো
সৃষ্টিকে করছে আজ অধিকার।
ক্ষণিকের চকিতে যায়
বজ্র বিষম ধায়
করিতে তিমিরে ছারখার।
চলেছে লড়াই হোথা
শোণিতের ধারা হেথা
ঝরে চলে, চলে ঝরে ঝিরঝির।
ভাসিছে ধরা আজ
নেই কারো কোন কাজ
কেঁপে চলে ভূলোক আজ থিরথির।
ধরণীর প্রান ক্ষুধা
মেটাই শোণিত সুধা
যোগাই প্রাণরস তৃণমূলে।
অসুর বিনাশ যায়
দেবতার হয় জয়
তবুও লড়াই আরও হয় ভুলে।
ভেঙ্গেছে ভেঙ্গেছে বাঁধ
দেখা গেছে দূ্র চাঁদ
তিমির হঠে গেল পিছে।
কোথা গেল সে আঁধার
ঢেঁকে দিয়ে দুইপার
জিনিতে যে এ গোলক মিছে।
আলোর ঝরণা আসে
ধরণীর বুক ভাসে
চিক চিক করে ওঠে প্রান্তর।
গিরিরাজ মাথাতুলে
চায় যে ছুঁতে ভুলে
অমৃতের সাদা ঐ ভাণ্ডার।
মিঠে বায়ু কেমন বয়
তুলেছে নূতন লয়
পএ মাঝারে বাজে করতালি।
সৃষ্টিযে প্রান পেল
অভিশাপ হয়ে গেল
স্রষ্টার অপরুপ আশিস-ধুলি।
শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
মাতৃস্নেহ
মাতৃস্নেহ
জন্ম মোর কোন ক্ষণে
শুধাইব জনে জনে
সৃষ্টি দানিয়াছে মোরে ঋণ।
কালের শেকল ভাঙ্গি
ধরাই সে দিলো আনি
মোর এই ক্ষুদ্র দেহটারে।
কতসুখে স্নেহপাশে
বাঁধি মোরে রেখেছিল
ঐ ক্ষুদ্র তার জঠরের গৃহকোণে।
হঠাৎ সে বিষম খায়
জননীর প্রাণ যায়
ধরার মাঝারে তাই মোর আগমন।
চারিদিকে আলোর ধারা
ভেঙ্গে চোখের কারা
দেখি কত রঙ্গে রাঙ্গা মুখ।
কিছুই চিনিনা তাহা
কেব্লই চেয়ে সারা
মেটে না মনের কোন আশ তো।
তবুও প্রানের ডাকে
মোর যে হৃদয় কাঁদে
কোথা গেল মম্তার সে পরশ।
খুজিতে গিয়ে তারে
পাইনা খুঁজে ভিড়ে
আঁখি মোর ক্লান্ত মানব স্রোতে।
হৃদয় কোনে তাই
হঠাৎ যে ব্যাথা পাই
চোখ দিয়ে পড়ে গেল জল যে।
শুনে বুঝে মোর বায়
তিনি সে নিতে চাই
মোরে তার কোমল অঙ্গনে।।
পাইয়া মাতৃসুখ
আমি যে কখন চুপ
বুঝিনি নিজেই আমি যে।
মাতৃকোলে তাই
আমি যে শুধুই ঘুমাই
কেটে গেছে সব ভয় বিপদের।
এমনি যে রোজ কাটে
বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে
মায়ের আঁচল ছেড়ে বড় তাই।
তবুও কাঙাল মন
মাতৃসুখের দিনক্ষণ
ভুলিতে সে কভু নাহি চাই।
আপন খেলার ঘর
যখনি ভাঙ্গে মড়মড়
মাতৃস্পর্শ দেয় সব ভুলিয়ে।
মমতার এই দান
করেছে করেছে মহান্
স্রস্টাও বাঁধা আছে চিরঋণে।
জন্ম মোর কোন ক্ষণে
শুধাইব জনে জনে
সৃষ্টি দানিয়াছে মোরে ঋণ।
কালের শেকল ভাঙ্গি
ধরাই সে দিলো আনি
মোর এই ক্ষুদ্র দেহটারে।
কতসুখে স্নেহপাশে
বাঁধি মোরে রেখেছিল
ঐ ক্ষুদ্র তার জঠরের গৃহকোণে।
হঠাৎ সে বিষম খায়
জননীর প্রাণ যায়
ধরার মাঝারে তাই মোর আগমন।
চারিদিকে আলোর ধারা
ভেঙ্গে চোখের কারা
দেখি কত রঙ্গে রাঙ্গা মুখ।
কিছুই চিনিনা তাহা
কেব্লই চেয়ে সারা
মেটে না মনের কোন আশ তো।
তবুও প্রানের ডাকে
মোর যে হৃদয় কাঁদে
কোথা গেল মম্তার সে পরশ।
খুজিতে গিয়ে তারে
পাইনা খুঁজে ভিড়ে
আঁখি মোর ক্লান্ত মানব স্রোতে।
হৃদয় কোনে তাই
হঠাৎ যে ব্যাথা পাই
চোখ দিয়ে পড়ে গেল জল যে।
শুনে বুঝে মোর বায়
তিনি সে নিতে চাই
মোরে তার কোমল অঙ্গনে।।
পাইয়া মাতৃসুখ
আমি যে কখন চুপ
বুঝিনি নিজেই আমি যে।
মাতৃকোলে তাই
আমি যে শুধুই ঘুমাই
কেটে গেছে সব ভয় বিপদের।
এমনি যে রোজ কাটে
বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে
মায়ের আঁচল ছেড়ে বড় তাই।
তবুও কাঙাল মন
মাতৃসুখের দিনক্ষণ
ভুলিতে সে কভু নাহি চাই।
আপন খেলার ঘর
যখনি ভাঙ্গে মড়মড়
মাতৃস্পর্শ দেয় সব ভুলিয়ে।
মমতার এই দান
করেছে করেছে মহান্
স্রস্টাও বাঁধা আছে চিরঋণে।
সম্পর্ক
সম্পর্ক
সম্পর্ক টানে আত্নীয়কে
টানে নিকটে বহু দূরকে।
বন্ধু টানে বন্ধুকে
সুখ টানে দুঃখকে।
ঝড়া পাতা চলে হাওওার টানে
নদীর বুক ভাঙ্গে স্রোতের টানে।
সমুদ্র টানে নদীরে
যেমন চাঁদ টানে জোয়ারে।
পৃথিবী টানে সূর্যেরে
মাটি টানে বৃষ্টিরে।
মাতা টানে পুত্ররে
জোয়ার টানে ভাঁটারে।
হিসেবী টানে হিসাবেরে
আবেগ টানে অনুভূতিরে
কেবলই সত্য টানে মিথ্যারে
ঢাকা দেবার জন্যেরে।
সম্পর্ক টানে আত্নীয়কে
টানে নিকটে বহু দূরকে।
বন্ধু টানে বন্ধুকে
সুখ টানে দুঃখকে।
ঝড়া পাতা চলে হাওওার টানে
নদীর বুক ভাঙ্গে স্রোতের টানে।
সমুদ্র টানে নদীরে
যেমন চাঁদ টানে জোয়ারে।
পৃথিবী টানে সূর্যেরে
মাটি টানে বৃষ্টিরে।
মাতা টানে পুত্ররে
জোয়ার টানে ভাঁটারে।
হিসেবী টানে হিসাবেরে
আবেগ টানে অনুভূতিরে
কেবলই সত্য টানে মিথ্যারে
ঢাকা দেবার জন্যেরে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)